বিশেষ প্রতিনিধি
নেত্রকোণা সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের লাইট গ্রামে ভোর রাতে এক অটোরিকশা চুরির অভিযোগ উঠেছে।
গত ২০ আগস্ট, রবিবার আনুমানিক রাতে ২.৩০মি.-৫ টার মধ্যে এ চুরি হয়।
এ ঘটনায় অটোরিকশার মালিক কাজল মিয়া(৪০) বাদি হয়ে নেত্রকোণা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মালিক কাজল মিয়া জানান, ৫ বছর হয় লুটাস কোম্পানির সবুজ রংয়ের অটোরিকশাটি ক্রয় করেন এবং যার পৌরসভার লাইসেন্স নং-৪৩৯।নিজেই চালাতেন এবং নিজ বাড়িতেই রাখতেন গাড়িটি। বিগত ১৯ আগস্ট রাত ৯ টায় প্রতিদিনের ন্যায় অটোরিকশা চালানোর পর বসতঘরের সামনে চার্জে রাখে এবং এরপর ঘুমিয়ে পড়ে। আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে তার ভাবী গাড়িটি নেই বলে জানালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে গেলে তালা ভাঙ্গা দেখতে পান। আশপাশের এলাকায় খোঁজ করেন। অটোরিকশাটি অনেক খোঁজাখুঁজির পর তা পাননি। ব্যাটারিসহ গাড়ির আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে এক এনজিও থেকে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে ব্যাটারি লাগিয়েছেন।তার পরিবারের একমাত্র সম্বল এই অটোরিক্সাটি। দূর্গাপুর, সদর উপজেলা, গৌরিপুর সহ অনেক জায়গায় খোঁজ নিয়েছেন। এখনো কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
এলাকাবাসী আরো বলেন, ‘ মসজিদের ইমাম সাহেব মারফত জানতে পারেন ফজরের আযানের ঠিক আধা ঘন্টা আগে একটি অটোরিকশার আওয়াজ শুনতে পান, কিন্তু তিনি গুরুত্ব দেননি।কেননা তিনি বুঝতে পারেননি । সে বিভিন্ন উপজেলায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে। কোনো সন্ধান পায়নি। মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেছেন। তিনি অটোরিকশা খুঁজে বেড়াচ্ছেন কেননা এটাই তার সংসারের একমাত্র সম্বল ছিল। অটোরিকশাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে গেছেন তিনি।
একদিকে অটোরিকশা হারানোর কষ্ট অন্যদিকে ঋণের বোঝা, কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে গেছেন কাজল মিয়া।
নেত্রকোনা মডেল থানার এ.এস.আই মুজিবুর রহমান আমিনুল বলেন, অফিসার ইনচার্জ লুৎফুল হক স্যারের নির্দেশে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং চল্লিশা বাজারে একটা বেকারীর সিসি ক্যামেরার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে এবং অটোরিকশাটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা চলছে।